একদম সংক্ষেপে বললে সম্পদে বরকতের জন্য কয়েকটি করণীয় বিষয় মনে রাখতে পারেন-
১। আয়রোজগারের কাজ একদম সকাল-সকাল (ফজরের নামাজ যিকর শেষে) শুরু করা।
২। যা-ই আয় হোক, তার নির্দিষ্ট একটা অংশ নিয়মিত দান করা। (এটা তিনভাগের একভাগ হতে পারে, এমনকি একশভাগের ১% ও হতে পারে।)
৩। অশ্লীল গুনাহ থেকে বাঁচা।
৪। বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। (দিনে ৭০-১০০বার করতে পারেন)
৫৷ তাহাজ্জুদ পড়ে রিজিকে বরকতের দোয়া করা।
৬। রাতের বেলায় সুরা ওয়াকিয়া পড়া। (মাগরিব পর থেকে ঘুমের আগে, এরমধ্যে পড়লেই হবে।)
৭। প্রয়োজনে নিজে বদনজরের জন্য রুকইয়া করা। কর্মস্থলে / ব্যবসার যায়গায় রুকইয়ার পানি ছিটানো। ইত্যাদি ইত্যাদি।(বদনজরের রুকইয়াহ– লিংকে এবং ব্যবসায় বদনজর লাগলে করণীয় লেখাতে নিয়মকানুন পাবেন)
** আরও কিছু পরামর্শ –
ক. কাজের শক্তি-সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাতে ঘুমের জন্য বিছানায় গিয়ে তাসবিহে ফাতেমি (সুবহানাল্লাহ ৩৩বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩বার, আল্লাহু-আকবার ৩৪বার) পড়ার অভ্যাস করতে পারেন
খ. হাদিসে বর্ণিত এই দুইটা দোয়া বেশি বেশি পড়া যেতে পারে, এগুলো ঋণ থেকে মুক্তির পাশাপাশি রিজিকে বরকতের জন্যও সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
اَللّٰهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغِنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
اَللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْ تِي الْمُلْكَ مَن ْتَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، رَحْمٰنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَرَحِيْمَهُمَاتُعْطِيْهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ، اِرْحَمْنِيْ رَحْمَةً تُغْنِيْنِيْ بِهَا عَنْ رَّحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ،
জ্বিন-জাদু-বদনজর আক্রান্তদের মাঝে যারা আয়-রোজগার নিয়ে সমস্যায় আছেন, তারা নিজ নিজ সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করার পাশাপাশি ওপরের পরামর্শগুলো ফলো করলে উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আর আল্লাহ চায়তো ভবিষ্যতে কখনো এব্যাপারে বিস্তারিত লেখা হবে। তখন এই পোস্ট আপডেট করে দেয়া যাবে।

মন্তব্য করুন