রুকইয়াহ শারইয়াহ ব্লগ

রুকইয়া বিষয়ে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা

দুইটা বিষয়ে এর আগে কয়েকবার সাবধান করেছি, আজ আবার পরিষ্কার ভাষায় বলছি- ১। ইউটিউব থেকে ইচ্ছামত রুকইয়া শুনবেন না, অনেকগুলো খারাপ রিপোর্ট এসেছে। সেজন্য আগেই সাবধান করছি, পরে দুর্ঘটনা হলে কান্নাকাটি করে লাভ নাই। ২। জ্বিনের সমস্যার জন্য যদি আপনি রুকইয়া শুনে থাকেন তবে এই মুহুর্তেই বন্ধ করুন! জ্বিনের সমস্যায় সরাসরি ট্রিটমেন্ট না করে, শুধু […]

রুকইয়া সংক্রান্ত কিছু হাদিস, সংশয় ও পর্যালোচনা

বিসমিল্লাহ। রুকইয়া অর্থাৎ মন্ত্র পড়া, ঝাড়ফুঁক করা, তাবিজ-কবচ মাদুলি এসবও হয়। তবে শাব্দিক অর্থ যাইহোক, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারিভাষিক অর্থ, বা এই শব্দটি আরবরা কোন অর্থে ব্যবহার করে সেটা। রুকইয়া বলতে বুঝায় ঝাড়ফুঁক করা। সেটা যেমন ইসলামি পদ্ধতিতে হতে পারে, আবার শিরকি কুফরি পদ্ধতিতেও হতে পারে। এখন কিছু কিছু হাদিসে রুকইয়ার ব্যাপারে কঠিন শব্দ ব্যবহার […]

আপনি কি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত? (ওয়াসওয়াসা/শুচিবাই রোগের লক্ষণ)

১. আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না? ২. আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না। ৩. সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে […]

ওয়াসওয়াসা রোগের জন্য রুকইয়া

সংক্ষেপে পরামর্শগুলো ১. ওয়াসওয়াসা হলে আউযুবিল্লাহ-জাতীয় কিছু পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, এবং এবিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকা। এই দোয়াটা পড়া যেতে পারে- এই দোয়াটাও খুব উপকারী, নামাজ এবং ঘুম এর আগে আগে ও পরে পড়া যায়- ২. ঈমান নিয়ে সংশয় উদিত হলে “আমানতু বিল্লাহ বলা” এছাড়া “সুরা ইখলাস পড়ার” কথাও বর্ণিত হয়েছে। ৩. নামাজে […]

অনাহূত ভাবনা (ওয়াসওয়াসা রোগ) ও তার প্রতিকার

হযরত মুফতি তকী উছমানী হাফিযাহুল্লাহুর প্রবন্ধ —————— অনাহূত চিন্তা-ভাবনার চিকিৎসা হল ভ্রুক্ষেপ না করা হযরত থানভী রাহ. এক মালফূযে একটি ব্যাপক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মানুষের মনে বিভিন্ন মন্দ ভাবনা আসে। কখনও এমনসব অবাঞ্ছিত চিন্তাও তার মনে উদয় হয় যে, ঈমান সম্পর্কেই সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে যায়। সম্ভবত এমন কোনো মানুষ নেই, যার মনে এ ধরনের চিন্তা […]

বুর্জগ ব্যক্তি ছাড়া রুকইয়াহ করা যাবে না?

রুকইয়া করতে অনেক বুজুর্গ টাইপের কেউ হওয়া লাগেনা। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- “কোরআন মুমিনদের জন্য রহমত এবং শিফা” [সুরা বনি ইসরাইল, ৮২] “বিশ্বাসীদের জন্য হিদায়াত এবং শিফা” [সুরা হামিম সাজদা, ৪৪] অতএব মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়াই যথেষ্ট। এমনকি আপনি হয়তো দেখেছেন, অনেক হিন্দু বিশ্বাস করে কোরআনের আয়াত পড়ে ফু দিয়ে দিলে উপকার হয়, তারা হুজুরদের থেকে […]

রুকইয়াহ শুনলেই ঘুম আসে বা সমস্যা হয়?

“আমি রুকইয়া শুনতে পারিনা, রুকইয়া শুনতে লাগলেই ঘুমিয়ে পড়ি” অনেকেই এই কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- . ১. ঘুমিয়ে পড়াটা রুকইয়া আসলেই কাজ করছে এর ইংগিত। ২. বদনজরের সমস্যা থাকলে সাধারণত রুকইয়ার সময় ঘুম আসে। ৩. শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেলেও উপকার হয়। তবে জেগে থেকে শুনলে যে পরিমাণ হয়, ততটা না। এজন্য জেগে থাকতে বলা […]

মেয়েরা কি রুকইয়া করতে পারেনা?

অবশ্যই পারে, রাকি হওয়ার জন্য ছেলে হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আর স্পষ্ট হাদিস আছে এব্যাপারে। সহিহ ইবনে হিব্বানের ৬২৩২নং হাদিস – আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলে, তখন একটা মেয়ের চিকিৎসা করা হচ্ছিল অথবা রুকইয়া করা হচ্ছিল। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন – কোরআন দ্বারা তার চিকিৎসা করো। রাসুল সল্লাল্লহু […]

অমুসলিমরা কি রুকইয়াহ করতে পারে?

সুরা বানি ইসরাইলের এক আয়াতে বলা আছে- “আমি কোরআনে এমন কিছু নাযিল করি যা শিফা এবং মুমিনদের জন্য রহমত” এটা দেখে অনেকে ভাবেন যে রুকইয়া বোধহয় শুধু মুমিনদের জন্যই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোরআন মুমিনদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ তো এটা যেমন সত্য, আর বিশ্ববাসীর জন্যও আল্লাহর রহমত এটাও ঠিক তেমনই সত্য। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সাহাবায়ে কিরাম […]

কুফরি কাটাতে কুফরি করা লাগবে?

বহুল প্রচলিত জঘন্য আকিদাগুলোর মাঝে এটা একটা। নিঃসন্দেহে এটা কোরআন বিরোধী আকিদা, বাস্তবতা পরিপন্থী আকিদা, মুর্খতাসুলভ কুফরি আকিদা। আমি কাউকে তাকফির করছি না, কিন্তু বাস্তবেই এটা ইসলাম বিরোধী বাতিল আকিদা। কোরআন এর কথা হচ্ছে – “মন্দ প্রতিরোধ সেটা দিয়েই করুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত। আর বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি […]